মরণ ফাঁদ ফরিদপুরের ধুলদি থেকে রাজবাড়ী রাস্তার মোড় পর্য্যন্ত

Page Visited: 1269
91 Views

ফরিদপুর সদর মডারেটর রোকন উদ্দিনঃ ঢাকা ফরিদপুর মহাসড়কের সবচেয়ে ভয়ংকর স্থানের নাম কোমরপুর থেকে রাজবাড়ী রাস্তার মোড় পর্যন্ত রাস্তা। মহাসড়কের এই অংশতে থেমে থমে প্রতিনিয়ত কোন না কোন ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘতেই চলছে।

আজ আরো একটা দুর্ঘটনা ঘটল।অল্পের জন্য বেচে গেল কয়েকটি তাজা প্রাণ। বাহিরদিয়ার পর থেকে সোজা রাস্তা হওয়ার যে কোন বড় যানবহন তার সর্বোচ্চ গতি ব্যাবহার করতে সক্ষম হয় এই অংশতে, গত দু বছরে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনাগুলো – ১.বাহিরদিয়া কোমরপুরের মাঝে পিকআপ ভ্যানের নিচে চাপা পরে আব্দুল্লাহ নামের এক ছেলের মৃত্যু। ২.ধুলদি ব্রীজে বাস খাদে পরে বেশ কয়েকজন নিহত। ৩.এরপর একদিন সকালে মুসলিম মিশনের শিক্ষকের মৃত্যু দ্রুতগতির মাহিন্দ্রের ধাক্কায়। ৪.কোমরপুর স্কুলের সমনে গ্রীনলাইন ভলবোর খাদে পরে যাওয়া। ৫.মুসলিম মিশনের আরো এক কর্মচারীর গতিশীল মোটরবাইকের ধাক্কায় পা ভেঙ্গে যায়।

৬.কিছুদিন আগে মুসলিম মিশন কলেজের প্রিন্সিপাল স্যারের ওয়াইফের রিকশায় ধাক্কা দেয় দ্রুতগতীর মোটরবাইক। তখন রিকশা থেকে পরে তার হাত ভেঙ্গে যায়। ৭. একই জায়গায় মাঝবয়সী এক যুবককে দ্রুতগতীসম্পন্ন বাস এমনভাবে পৃষ্ট করে যে যুবকের পরিবারের সদস্যদের’ই লাশ শনাক্ত করতে কষ্ট হয়। যুবকের মাথার উপর দিয়ে বাসের চাক্কা চলে যায়। সে এক বীভৎস দৃশ্য। ৮. কোমরপুর স্ট্যান্ডে এক সাইকেল চালকের মাথার অর্ধেক পৃষ্ট হয় বাসের চাকার নিচে। ৯. এবছরের প্রথমদিকে অতিরিক্ত গতী থাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এক মাইক্রোবাস মিশনের সামনের নর্দমায় পরে যায়। ১০. গতবছরে সাউথ লাইন পরিবহনের একটি বাস কোমরপুর যাত্রীছাওনির উপর দিয়ে উঠে যায় অতিরিক্ত গতীর কারণে। সেখানে অপেক্ষমাণ ২ জনের তৎক্ষনাত মৃত্যু ঘটে। এছাড়াও গতবছরই খৃস্টান মিশনের সামনে ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পরে যায়।

এভাবে ফরিদপুরের এই অংশে প্রতিবছরেই ৫-৬ টি দূর্ঘটনা ঘটছে এবং প্রত্যেক দূর্ঘটনায় কেউ না কেউ প্রাণ হারাচ্ছে। এরমধ্যে শুধু মুসলিম মিশনের শিক্ষক মারা যাওয়ার পর মিশনের সম্পাদক এম এ সামাদ স্যার প্রশাসনের কাছে অনেক আবেদন করেও একটি স্পীডব্রেকার দিতে পারেন নি তবে তখন মিশনের সামনে দুটি Ramble Step দিয়েছিল প্রশাসন। অন্যদিকে কোমরপুর থেকে মুসলিম মিশন পর্যন্ত সড়ক বিভাগের অবস্থা যদি সড়ক বিভাগও দেখতো তাহলে তারাও বুঝি লজ্জা পেতো। ভারী ট্রাক চলার দরুন রাস্তায় লম্বা গর্তের র্সৃষ্টি হয়েছে, যেখানে ছোট গাড়ীর ব্যালেন্স রাখা অনেকটাই কষ্টসাধ্য ব্যাপার, এদিকে সড়ক বিভাগ বা প্রশাসনের কোন নজরদারী লক্ষনীয় না । হ্যা এখানে যদি আবার বড় কোন ট্রাজেডি ঘটে তখন ঠিকই প্রশাসনের নজর পরবে, এখন আরো একটি বড় দূর্ঘটনা দেখার অপেক্ষাই কি সমাধান তাহলে?

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *