আবিরের ছাদ বাগান

Page Visited: 97
110 Views

ছাদ বাগান পরিচিত পর্ব (৩)

নাম: জাওয়াদ আবীর
মূল বাড়ি মুকসুদপুর, গোপালগঞ্জ। পড়ালেখার সূত্রে ফরিদপুরে থাকছেন তিনি। H.S.C ফরিদপুর সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ থেকে উত্তির্ণ হয়েছেন বর্তমানে তিনি ফরিদপুর সরকারি ইয়াসিন কলেজে অনার্স ৪র্থ বর্ষের ছাত্র (নিউ) বাংলা বিষয় নিয়ে পড়ছেন।
 
গত ২০১৫ সালে পরিবারসহ ফরিদপুরে আসা। তাই বাগানে বড় ছোট সব গাছই ছিলো। হঠাৎ করে তার বাবা ঢাকা চলে যান কর্মসূত্রে, ভাইও ভিন্ন স্থানে  এজন্য তার মা বাড়িতে চলে যায়। যেহেতু মেসে থাকেন তিনি তাই বাগান করাটা একটু চ্যালেন্জ তার জন্য। তার বাসার বাড়িওয়ালা আন্টি এগুলো একদমই পছন্দ করে না, তাই বড় গাছ আর রাখা হয়না। অল্প হলেও আলহামদুলিল্লাহ তিনি শখ মেটানোর পাশাপাশি বিক্রিও হচ্ছে, তিনি গাছ সংগ্রহ করে এবং পরিচর্যা করেন। তবে সবগাছই এক্সট্রা রাখে এতে করে তার বাগান করার শখটাও মিটে যায়।
বাড়িওয়ালা রাখতেই দিতে চায় না, অনেক বুঝিয়ে রেখেছেন তিনি তারপরও মাঝেমাঝেই সেটা নিয়ে কথা শুনতে হয় তাকে। হয়তো খুব শীঘ্রই এখান থেকে শিফট হতে হবে তাকে তার নতুন ঠিকানায়। তিনি জানান তিনি নতুন নতুন বাগানি তৈরি করেছে ফরিদপুর শহরে মিনিমাম ৩০/৪০ জনকে।
 
তার পরিকল্পনা নতুন নতুন বাগানি তৈরি করা, তাই রিজনেবল প্রাইসে শিক্ষার্থীদেরকে গাছ দেয় এটা অব্যাহত থাকবে, তাছাড়া ইচ্ছা আছে ভার্টিক্যাল নার্সারি বা ডিজিটাল নার্সারি করার। কারন ফ্লাটবাসায় চাইলেই বড় গাছ রোপন করা সম্ভব না।
 ২০১৬ সাল থেকে কাজ শুরু করে তিলে তিলে সাজিয়েছেন  এই ছাদ বাগান । এই বাগান করার সময় তাকে তার সসহপাঠী , বন্ধুবান্ধব সহ সকলেই এ কাজে তাকে সহায়তা করেছেন। তিনি যেখানে যে প্রজাতির গাছ পেয়েছেন তাই সংগ্রহ করেছেন। বিভিন্নস্থানের বন-জঙ্গল থেকে তুলে এনেছে অনেক গাছ। অনেকেই এই  এসব কাজ দেখে প্রথমে হেসেছেন। কিন্তু তিনি  থেমে থাকেনি। সে তার নিজের করেই  কাজ চালিয়ে গেছে।
 আমরা চাইলে প্রত্যেকেই আমাদের ছাদগুলোকে এভাবে সাজাতে পারি। তাতে প্রাকৃতিকভাবে যেমন আমরা হবো সবল, তেমন অর্থনৈতিকভাবে তৈরি করতে পারি সফলতা। আমার চাইলে আমাদের নিজের বাড়িতে ছোট ছোট করে বাগান তৈরি করতে পারি।

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *