৬শত বছরের প্রাচীন ঐতিহাসিক পাতরাইল মসজিদ
13/04/2022
৬শত বছরের প্রাচীন ঐতিহাসিক পাতরাইল মসজিদ। কেউ বলে গায়েবী মসজিদ আবার কেউ বলে দিঘীরপাড় মজলিশ আউলিয়া মসজিদ।
পাতরাইল মসজিদ বা মজলিশ আউলিয়া মসজিদ ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলার অন্তর্গত আজিমনগর ইউনিয়নের পাতরাইল গ্রামে অবস্থিত একটি প্রাচীন মসজিদ। মসজিদটি দীঘিরপাড় আউলিয়া মসজিদ নামেও সুপরিচিত। মসজিদটি বর্তমানে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের নিয়ন্ত্রণাধীন আছে। ঐতিহ্যবাহী এই প্রাচীন মসজিদটি গিয়াসউদ্দিন আজম শাহ ১৩৯৩ খ্রিস্টাব্দ হতে ১৪১০ খ্রিষ্টাব্দ এর মধ্যে নির্মাণ করেছিলেন বলে ধারনা করা হয়। এই ঐতিহাসিক মসজিদের দক্ষিণ পাশে চির নিন্দ্রায় শায়িত আছেন মজলিশ আউলিয়া খান। জনশ্রুতি আছে যে, অত্র এলাকায় প্রজাদের পানীয় জলের সমস্যা নিরসনকল্পে ও ইবাদতের জন্য মসজিদের পার্শ্বেই ৩২.১৫ একর জমির উপর একটি দীঘি খনন করেন।
প্রতিদিনই মসজিদটি দেখতে দুরদুরান্ত থেকে দর্শনার্থীদের আগমন ঘটে এখানে নারী পুরুষ সকলেই আসেন। পদ্মাসেতু চালুর পর থেকে মসজিদটিতে আরও দর্শনাথীর আগমন ঘটছে যেমনটি আমরা আশাবাদী ছিলাম। তাই মসজিদটিকে ঘিরে স্থানীয় প্রশাসন কোনও বিশেষ উদ্যোগ নিলে ফরিদপুরের ইতিহাস এবং ঐতিহ্যের প্রসার ঘটবে বলে আমরা মনে করি।
মসজিদের গঠনশৈলী:
পাতরাইল মসজিদটি ১০ গম্বুজ বিশিষ্ট। মসজিদটির দৈর্ঘ্য ৮৪ ফুট, প্রস্থ ৪২ ফুট। চার কোণে ৪ টি মিনার আছে। মসজিদের দেয়াল ৭ ফুট প্রশস্ত। মসজিদের ভিতরে ৪ টি স্তম্ভ বা থাম আছে। মসজিদের গায়ে রয়েছে দৃষ্টিনন্দন টেরাকোটার কারুকাজ, নানারকম শৈল্পীক কারুকার্যে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে মসজিদটিকে।
মসজিদটির পেছন দিকটা বেশ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে তাই মসজিদের যথাযথ রক্ষনাবেক্ষন এর অনুরোধ জানাচ্ছি প্রত্নতাত্বিক অধিদপ্তরের কাছে। যেসকল দর্শনার্থিরা ভ্রমন করতে যাবেন অবশ্যই মসজিদের সৌন্দর্য নষ্ট হয় এমন কোনও কাজ করবেন না। ধন্যবাদ সকলকে ফরিদপুরকে দেখুন ফরিদপুরকে জানুন।
Recent Comments