সালথায় ঐতিহ্যবাহী সিংহ পরিবারের শেষ চিহ্ন সংরক্ষণের দাবিতে মানববন্ধন

Page Visited: 224
93 Views

সালথায় ঐতিহ্যবাহী সিংহ পরিবারের শেষ চিহ্ন সংরক্ষণের দাবিতে মানববন্ধন

ফরিদপুরের সালথা উপজেলার শতবর্ষী ঐতিহ্যবাহী বাউষখালী বাবু বাড়ি সংস্কার এবং সংরক্ষণের দাবিতে আজ সালথা উপজেলা চত্বরের সামনে মানববন্ধন করেছে ফরিদপুরের ১৭টি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও এলাকাবাসী।

‘বাউষখালী বাবু বাড়ি, সবাই মিলে রক্ষা করি’- এই শ্লোগানকে সামনে রেখে আজ রবিবার  সকাল ১০ টায় সালথা উপজেলা পরিষদের সামনে  মানববন্ধন কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়।

এ মানববন্ধনের সাথে একাত্বতা প্রকাশ করে বল্লভদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ নুরুল ইসলাম বলেন, জমিদার বাড়ী শুধু সালথা উপজেলাবাসীর নয় সমগ্রদেশের একটি ঐতিহ্য। এই ঐতিহ্য রক্ষা করতে যা যা করনীয় প্রয়োজনে তা করা হবে। তিনি প্রধানমন্ত্রী এবং স্থানীয় মাননীয় সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চোধুরীর কাছে আহ্বান জানান আমাদের প্রাণের দাবির প্রতি সম্মান দেখিয়ে এ বাবু বাড়ী রক্ষাসহ এ এলাকায় একটি পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা হোক।

এ সময় বক্তারা বাউষখালী বাবু বাড়িটিকে সংস্কার ও সংরক্ষণ করে বাড়িটি প্রত্নতাত্বিক নিদর্শন, ইতিহাস ও গবেষণার কেন্দ্র এবং সরকারি সম্পদ হিসেবে ঘোষণা করার দাবি জানান।

মানববন্ধন কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করেছে যারা প্রভাতের হাসি ফাউন্ডেশন বল্লভদী, আমরা করবো জয় ফরিদপুর;,শান্তি’র আহ্বান, সালথা উপজেলা, ঘুরি-ফিরি ফরিদপুর; কানামাছি ভোঁ ভোঁ; সেপটোস ফোর, সদরপুর; ফরিদপুর সাইক্লিস্টস কমিউনিটি,ওয়েলফেয়ার সোসাইটি ফরিদপুর; কনজুমার এসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ , সালথা উপজেলা শাখা; সালথা; মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড সালথা উপজেলা শাখা; ফরিদপুর; ফরিদপুর সিটি পেজ/ ফরিদপুর লাইভ গ্রুপ, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন সালথা উপজেলা শাখা; ঐতিহাসিক স্থাপনা রক্ষা আন্দোলন, বাউষখালী সালথা; উই কেয়ার ফরিদপুর; রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, সালথা,

এ সময় সংগঠনগুলো মানববন্ধন থেকে গণস্বাক্ষর নিয়ে জমিদার বাড়িটি রক্ষার দাবিতে সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট তাদের দাবি তুলে ধরেন। উল্লেখ্য, প্রায় দুই শতাব্দীর অধিক কাল ধরে দাঁড়িয়ে থাকা সিংহ পরিবারের বসবাসের ইতিহাস জড়িয়ে আছে এই বাড়িতে। সিংহ পরিবারের আবির্ভাব সম্পর্কে কোন তথ্য পাওয়া না গেলেও এই পরিবার শুরু থেকেই অত্র অঞ্চলের বিভিন্ন উন্নয়নমুলক কার্মকান্ডে লিপ্ত ছিলেন। সিংহ পরিবারের ঐতিহ্যের শেষ চিহ্ন হিসেবে কালের সাক্ষি হয়ে দাড়িয়ে আছে একটি ভবন  এবং একটি মন্দির এখনো যা পর্যটন প্রেমীদের দৃষ্টি আকৃষ্ট করে।

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *