কেঁচো সার উৎপাদনে সফল ইহান ভার্মি কম্পোস্ট

Page Visited: 126
110 Views

কেঁচো সার উৎপাদনে সফল ইহান ভার্মি কম্পোস্ট।

জৈব বস্তুকে বিশেষ প্রজাতির কেঁচোর সাহায্যে খুব অল্প সময়ে জমিতে ব্যবহার উপযোগী জৈব সার তৈরির প্রক্রিয়াকে ভার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সার বলা হয়। ইতিমধ্যে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের চাষাবাদে জনপ্রিয় ও প্রয়োজনীয় উপাদান হয়ে উঠেছে ভার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সার। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বানিজ্যিকভাবে উৎপাদন করা হচ্ছে ভার্মি কম্পোস্ট। ইতিমধ্যে ভার্মি কম্পোস্টের উদ্যোক্তারা বেশ সাফল্য অর্জন করেছেন এবং অনেকেই নতুনভাবে এই সার উৎপাদনে আগ্রহী হয়ে উঠছে।
 
পরিবেশবান্ধব এ সার উৎপাদনে প্রধান উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয় গোবর, এছাড়াও ধান বা গমের খড়, মুগ/কলাই/গমের খোসা, তুষ অথবা রান্নার কাজে ব্যবহৃত কিছু নির্দিষ্ট কিছু সবজির খোসা দিয়ে খুব সহজেই বাড়ির আঙিনায় এ সার উৎপাদন করে অল্প সময়েই লাভবান হচ্ছেন উদ্যোক্তারা।
ফরিদপুরের ছেলে ইহান এমনি একজন উদ্যোক্তা। ইহান ভার্মি কম্পোস্টের মালিক জনাব ইহান প্রথমে মাত্র ৪ টি রিং স্লাপ দিয়ে শুরু করেছিলেন সার উৎপাদন, যা বর্তমানে চাহিদার প্রেক্ষিতে পরিসর বৃদ্ধির মাধ্যমে ৩০ বাই ৩০ ফিট একটি হাউজ এবং ১০ টি রিং স্লাপে রূপান্তরিত হয়েছে।
 
জনাব ইহান জানান, বর্তমান কৃষক, মাছচাষী এবং বাগানী ভাই-বোনদের ভার্মি কম্পোস্টের চাহিদা সবচেয়ে বেশী। তিনি আরও জানান, ঢাকা ও চট্টগ্রামের ছাদ বাগানীদের কাছেই সবচেয়ে বেশী বিক্রি করছেন তার উৎপাদিত ভার্মি কম্পোস্ট এবং খুব শিঘ্রই উৎপাদনের পরিসর বাড়াতে দু’টি বড় বড় হাউজ উদ্বোধন করবেন তিনি। তিনি ইন্ডিয়া থেকে ভার্মি কম্পোস্ট ও বায়োফ্ৰক মাছ চাষের উপর ট্রেনিং এবং বাংলাদেশ যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে হাঁস মুরগি, গরু-ছাগল পালন, কৃষি শিক্ষা ও গবাদি পশু চিকিৎসায় ট্রেনিং নিয়ে ভার্মি কম্পোস্ট উৎপাদন শুরু করেন। কৃষিক্ষেত্রে অবদানের জন্য ২০২২ সালে প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের পশুপাখি মেলায় হাঁস-মুরগি ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ঠ খামারি নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়াও ২০২৩ সালে ইহান ভার্মি কম্পোস্ট জেলার শ্রেষ্ঠ গুণগত মানের সার উৎপাদনকারী হিসেবে নির্বাচিত হন।
কেঁচো সার কেন ব্যাবহার করবেন?
 
  • এটি সম্পূর্ন জৈব সার
  • এটি গাছের অত্যাবশ্যকীয় ১৭ টি খাদ্য উপাদানের ৯/১৪ : উপাদান কেঁচো সারে বিদ্যমান।
  • উল্লেখিত পুষ্টি উপাদান ছাড়া ও গাছের প্রয়োজনীয় বেশ
  • কয়েকটি হরমন, এনজাইম পাওয়া যায়, যা গাছের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, ফলের বর্ণ, স্বাদ ও অন্যান্য গুনগত মান উন্নয়নে সহায়তা করে।
  • কেচোঁ সার ব্যাবহারে জমিতে অনু জৈবিক প্রক্রিয়া তরান্বিত হয়।
  • কেঁচো সার বীজের অংকুরোগমে সহায়ক।
  • গাছ বৃদ্ধিতে সহায়তা করে ।
  • শিকর পচাঁ রোগ হতে রক্ষা করে।
  • গাছের জন্য সুষম খাদ্য দিতে সক্ষম।
  • সেচ ব্যায় সাশ্রয় করে।
  • মাটিতে জৈব পদার্থের উপস্থিতি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে ।
  • মা‌টির হিউমাস গঠ‌নে সহায়তা ক‌রে।

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *