আকোটের চর কাশবনে দর্শনার্থীর ভীর

Page Visited: 265
111 Views

গৃষ্মের প্রচন্ড দাবদাহ আর বর্ষার অবিরাম বৃষ্টি শেষে শুভ্রতা আর স্নিগ্ধতার অপার সৌন্দর্য্য নিয়ে বাংলার প্রকৃতিতে হাজির হয় শরতকাল।

শরতকে বলা হয় ‍ঋতুর রাণী এসময় দেখা যায় নীল আকাশে সাদা মেঘের ভেলা ।

ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে আমাদের ফরিদপুরের প্রকৃতি সেজে উঠে আপন মনে, পদ্মা নদীর তীর ঘেষে দেখতে পাওয়া যায় কাশফুলের সৌন্দর্য্য মনমাতানো কাশবন। তেমনই একটা স্থান ফরিদপুর এর সদরপুর উপজেলার আকটের চর, যেখানে দেখা মিলবে কাশবনের, এ যেনো কাশবনের সমুদ্র যে দিকে দু চোখ যায় শুধু কাশফুল আর কাশফুল । মনে হবে এই কাশফুলের সমুদ্রে নিজেকে ভাসিয়ে দেই ।

কাশবনে হিমেল বাতাস দোল খাচ্ছে সেই সাথে আকাশে শুভ্র মেঘের ভেলা পরিবেশটা কতটা যে সুন্দর তা বলে বোঝানো যাবে না।

তবে এই সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে হলে নদী পার হয়ে কাদা মারিয়ে তারপরই এই সৌন্দর্য্যের দেখা মিলবে।

যেভাবে যাবেন আকোটের চরে:

তিনদিক দিয়ে যাওয়া যায় এই আকোটের চরে ফরিদপুর সদর থেকে প্রথমে আসবেন চরভদ্রাসন বাজার সেখান থেকে মনিকোঠা বাজার হয়ে আকোটেরচর বাজার যেতে পারবেন। আবার সদরপুর দিয়েও যেতে পারবেন,  ফরিদপুর থেকে প্রথমে আসতে হবে সদপুর তারপর মনিকোঠা বাজার থেকে আকোটের চরে এলেই পেয়ে যাবেন এই কাশবনের দেখা। ফরিদপুর সুপার মার্কেট থেকে সি এনজি মাহেন্দ্র বা ইজিবাইকে করে যেতে পারবেন। রিজার্ভ

 করে যাওয়ােই ভালো যেতে ১ ঘন্টা ২০ মিনিট লাগতে পারে আসতেও এমন সময় তাই যাওয়া আসার সময় হাতে রেখে যাওয়াই ভালো। বর্তমানে নদীর ওপর মামা ভাগ্নে বাশের সাকো নির্মিত হয়েছে, জন প্রতি ১০ টাকা আগে নৌকায় পার হতে হতো।

আসুন জেনে নেই  কিভাবে পেলাম এই কাশবনের দেখা :

গতবছর আমাদের একজন শুভাকাঙ্খী ফিরোজ আহমেদ ফরিদপুর সিটি পেজের ইনবক্সে  এই স্থানের কিছু কাশফুলের ছবি পাঠায়, যা দেখে সত্যি অবাক হয়েছি এতো সুন্দর স্থানটি আমাদের ফরিদপুরে? তখনই যেতে মন চায় সেখানে । তবে তিনি জানান ভাই এখন তো কাশফুল শেষ । কি আর করার অপেক্ষায় রইলোম একবছর । দীর্ঘ একবছর পরে ফিরোজ আহমেদ মেসেজ দিয়ে জানালেন কাশফুল ফুটেছে, কিছু ছবিও দিলেন আমাদের যা দেখে আর দেরি করতে মন চাইলো না । ছুটে গেলাম আকোটের চরের কাশবন দেখতে কি অপরুপ দৃশ্য ১বছর অপেক্ষার ফল এতো মধুর হবে সত্যিই ভাবতে পারিনি। অনেক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি ফিরোজ আহমেদের প্রতি তার কারনেই ফরিদপুরের এই অপার সৌন্দর্য্যকে আপনাদের মাঝে তুলে ধরার সুযোগ পেলাম।

বলে রাখা ভালো কাশবন এর সৌন্দর্য্য শেষ হবার পরে এই স্থানটিতে দেখা মিলবে আরেকটি সৌন্দর্য্য যা দেখার জন্য আমাদের টিম এবছরই শীতকালে ঘুরে এসেছি তারই কিছু অংশবিশেষ আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে দেখে নিতে পারেন।

সবুজ বিস্তীর্ন মাঠে দেখা মিলবে অসংখ্য গড়ু ঘাস খাচ্ছে দেখে মনে হয়েছিলো যেনো নিউজিল্যান্ডের ডেইরী ফার্ম । উন্মুক্ত মাঠে মন চাইবে ছুটে বেরাতে শহরের কোলাহল ছেড়ে একদম অন্যরকম একটি দিন কাটাতে পারেন এখানে।

ফরিদপুরের সৌন্দর্য্য ছড়িয়ে দিন বিশ্বজুড়ে ।

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *