সফল ফ্রিল্যান্সার শাওন মিরের সফলতার গল্প

Page Visited: 240
141 Views
ফ্রিল্যান্সিং কোর্স করে ফরিদপুরের শাওন মির নিজের ভাগ্য পরিবর্তন করেছেন যেভাবে সেই সফলতার গল্প আজ শোনাবো সবাইকে। ইতিমধ্যে তিনি ১ লক্ষ ডলার আয় করেছেন মাত্র ২বছরে। নিজেও এখন প্রশিক্ষন দিচ্ছেন সেই সাথে নিজের পরিবারের হাল ধরেছেন এবং নিজের পড়াশোনাও চালাচ্ছেন । কেমন ছিলো সেই জার্নিটা চলুন তার নিজের মুখেই শোনা যাক।
 
তিনি জানান ফরিদপুর লাইভ গ্রুপের অনেকেই ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্য অনেক পোস্ট শেয়ার করেন তা দেখে তিনি সত্যিই উৎসাহিত হয় !
তাই ভাবলাম আমার ফ্রিল্যান্সিং জার্নি টা শেয়ার করি,যদি কেউ অনুপ্রেরণা পায়।
কি ভাবে একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হলেন?
আমি শাওন মীর, মধ্যবিত্ত ফ্যামিলির বড় ছেলে।
বাসাঃ ফরিদপুর সদর উপজেলা । পড়ালেখায় খুব একটা ভালো ছিলাম না,কোনো রকম এসএসসি পাশ করে, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তি হলাম সাবজেক্ট পেলাম কম্পিউটার! কম্পিউটার কিভাবে চালু করতে হয় জানতাম না, প্রথমবার এর মতো মা,ভাই কে ছেড়ে হোস্টেলে যাওয়া! অত:পর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং এর পড়া শুরু! একটা সময় বুঝতে পারলাম, কম্পিউটার কেনার দরকার আমি আমার বাবাকে বলি কম্পিউটারের কথা, অহ বলতে ভুলে গেছি আমার আব্বু সৌদি আরব থাকেন তার কিডনিতে প্রব্লেম ছিল, তাকে বলার পর ৫ মাস পর একটা কম্পিউটার পাঠায় HP।
২০১৭ সালে আমি যখন ডিপ্লোমায় ৪র্থ সেমিস্টারে উঠি তখন ফেসবুক হ্যাকিং নিয়ে আমার মাথায় অনেক প্রশ্ন আসে এবং হ্যাক করার চেষ্টা করি, সেখান থেকে হ্যাকার হওয়ার সপ্ন মুভি দেখা শুরু করলাম হ্যাকিং এর মুভির মত হ্যাকার হবো। কলেজের সবাই হ্যাকার নামে ডাকাও শুরু করলো। তখন সোশ্যাল মিডিয়া এ ঘাটতে ঘাটতে এক ভাইয়া এর সাথে পরিচিত হয়ে যায় তার কাছ থেকে হাতেখড়ি।( নাম বলা বারণ আছে )।
২০২০ সালে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া শেষের দিকে, বড় ছেলে হওয়ার সুবাদে প্রেশার আস্তে আস্তে বাড়তে থাকে । এজন্য চাকরির চেষ্টা শুরু করি এবং নানা জায়গায় সিভি জমা দেই। একই বছরের আগস্ট মাসের মধ্যে আমি ফ্রিলান্সিং মার্কেট প্লেস আপওয়ার্কে একাউন্ট খুলে ফেলি কারন আমি এত দিন শিখেছি। তার কিছুদিন পর কাজ পাই একটা ,
আমার প্রথম ইনকাম ছিল ৩০ ডলার ফ্রিলান্সিং করে.
তারপর, আর একটি কাজ পাই ৭০০ ডলারের ।
এর পর আর পিছে ফিরে তাকাতে হয় নাই।
এভাবে ৩ মাসে ৬ হাজার ডলার আর্ন করে ফেলি ।
৫ মাসে ১০,০০০ হাজার ডলার আর্নিং করে ফেলি ,
৮ মাসে ২০ হাজার ছুঁয়ে ফেলি ,
১০ মাসে ৩০ হাজার ডলারের মাইল ফলক ছুঁয়ে ফেলি ।
তারপর ২০২১ এ ৫০ হাজারের মাইল ফলক ছুঁয়ে ফেলি ।
এ পর্যন্ত আপওয়ার্ক,ফাইবার এবং মার্কেট প্লেসের বাইরে থেকে ১,০০,০০০ ডলার এর বেশি আর্ন করেছি ফ্রিল্যান্সিং করে.
এবং এর পাশাপাশি আলহামদুলিল্লাহ্‌ ক্যারিয়ার আইটি নামে নিজের একটা আইটি প্রতিষ্ঠান দাড় করিয়েছি ।
সেখানে আমি নিজেই ট্রেইনার হিসাবে সাইবার সিকিউরিটি শেখাচ্ছি ।
ইনশাল্লাহ, আমার হাত ধরে যদি কেউ সাইবার সিকুউরিটি জগতে আসতে পারে সেটাই আমার পাপ্তি হবে।
আমার মা এর হাতে প্রথম টাকা দিয়েছলাম আহ তার হাসি এখনো আমার মনে পড়ে, টাকা নিয়ে চুমু দিয়েছিল টাকায়! এবং বাবাকে বলি বি.এস.সি এর জন্য তোমার জমি বিক্রি করতে হবে না আমি নিজের টাকা দিয়ে করবো!
শাওন মির আমাদের ফরিদপুর তথা বাংলাদেশের গর্ব তার এই পথচলার গল্প কিছুটা তুলে ধরা হলো। তার মতো হাজারও তরুণ তরুণীরা হতাশায় ঘুরে বেরায় কিছু না পাওয়ার আশায় অথচ তার মতো এমন প্রশিক্ষণ গ্রহন করে নিজের ভাগ্য বদলে ফেলতে পারেন আপনিও। ইতিমধ্যে তার প্রতিষ্ঠান  https://careerit.net/  তে আবেদন প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে।
তার ইউটিউব চ্যানেল থেকেও ঘুরে আসতে পারেন https://www.youtube.com/Learnwithshawon

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *