২১ প্রজাতির আম চাষে তাক লাগালো ফরিদপুরের মাফি

Page Visited: 132
138 Views

২১ প্রজাতির আম চাষ করে তাক লাগিয়েছেন ফরিদপুর সদর উপজেলার হাট গোবিন্দপুরের মফিজুর রহমান মাফি।
এসব আম দেখতে যেমন লোভনীয় তেমনি স্বাদে অনন্য। ব্রুনাই কিং,থাইল্যান্ড এর চিয়াংমাই, বা জাপানের মিয়াজাকি বা সূর্যডিম যাকে বলা হয় পৃথিবীর সবচেয়ে দামি আম, এছাড়াও আপেল ম্যাংগো,কাটিমন,বারি ৪,বারি ১১,গৌরমতি, ব্যানানা ম্যাংগো, আমেরিকার পালমারসহ মোট ২১ প্রজাতির আম গাছ রয়েছে তার বাগানে।


৯ বিঘা জমিতে আমের চাষ করছেন তিনি জানান,তার এই বাগানের বয়স ৪ বছর। এসব আমের চারা তিনি দেশ বিদেশ থেকে সংগ্রহ করেছেন বলে জানিয়েছেন। আমাদের দেশেও এমন উন্নত জাতের আমের চাষ সম্ভব তিনি প্রমাণ করেছেন। তার বাগানে গিয়ে দেখা গেলো প্রতিটি গাছেই ঝুলে আছে বিভিন্ন প্রজাতির হরেক রকমের আম। একই স্থানে এতো রকমের আম দেখতে সত্যিই অসাধারণ লাগছিলো। বিভিন্ন প্রজাতির আমের সাইজও বিভিন্ন রকমের যেমন ব্রুনাই কিং জাতের আম একটির ওজন প্রায় ৩-৪ কেজি পর্যন্ত। এছাড়াও সূর্য ডিম বা মিয়া জাকি,চিয়াংমাই প্রজাতির আমগুলো দেখতে ভীষণ ভালো লাগছিলো। রং বে রং এর নজরকাড়া এই আমগুলো দেখতে ভীষণ সুন্দর দেখে মনে হতে পারে আমগুল্প হয়তো পেকেছে কিন্তু না আমের রংটাই এমন তবে যখন পেকে যায় তখন রংটা আরও গাড়ো হয়।


এছাড়াও তিনি ১৪ বিঘা জমিতে ড্রাগন ফলের চাষ করেছেন, গতবছর তিনি স্থানীয় বাজারে ২০০ মন ড্রাগন ফল বিক্রিও করেছেন।  রয়েছে পেয়ারা,চায়না কমলা,পেপে,কয়েক প্রজাতির বরই।
এখন মিশ্র ফলের বাগান হলেও ২০১৯ সালে বরই দিয়ে মফিজুর রহমান মাফির কৃষিতে যাত্রা শুরু । ১ম বছরেই তিনি সফলতা পান। এরপর তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। প্রবাস জীবন ত্যাগ করে তিনি নিজ উদ্যোগে হয়ে উঠেছেন একজন সফল উদ্যোক্তা।তার বাগানে স্থানীয় অনেকেই কাজ করে হয়েছেন সাবলম্বি। দেশের বিভিন্ন স্থান হতে তার এই ফলের বাগানে আসছেন চারা সংগ্রহ করতে,কেউ ফল কিনতে কেউ কৃষি পরামর্শ গ্রহণ করতে কেউ এই উদ্যোক্তার বাগান স্বচক্ষে দেখে অনুপ্রেরণা নিতেও আসেন। তার এই সফলতা অসংখ্য শিক্ষিত বেকার যুবকদের আত্মকর্মসংস্থানে উৎসাহ যোগাচ্ছে।

কৃষি পরামর্শ গ্রহণ করতে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারেন
01861818182 (মোফিজুর রহমান মাফি) হাট গোবিন্দপুর,ফরিদপুর সদর।

 

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *