ফরিদপুরে পল্লী কবি জসীমউদ্দীন এর ৪৪ তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত
14/03/2020
ফরিদপুরে পল্লীকবি জসীম উদ্দীনের ৪৪ তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হচ্ছে আজ।
আজ সকালে পল্লীকবির কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা প্রশাসক জনাব অতুল সরকার,ফরিদপুর পুলিশ সুপার জনাব আলিমুজ্জামান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রোকসানা রহমান (সার্বিক) , এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আসলাম মোল্লা ( রাজস্ব) এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব মাসুম রেজাসহ অন্যান্য ব্যাক্তিবর্গ ।
কবির কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে কবির বাড়ির আঙ্গিনায় দোয়া ও আলোচনা সভা হয়
উক্ত দোয়া মাহফিলে প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন, সেই সাথে কবির পরিবারবর্গ, স্থানীয় বাসীন্দা,প্রতিবেশিরাও উপস্থিত ছিলেন।
কবি ১৯৭৬ সালের এই ১৪ মার্চ তারিখে ঢাকায় ইন্তেকাল করেন এবং ফরিদপুরের অম্বিকাুর ইউনিয়নে তার বাড়ির আঙ্গিনায় তার শেষ ইচ্ছা অনুযায়ি তার দাদির কবরের পাশেই দাফন করা হয়।উল্লেখ্য তিনি ১৯০৩ সালের ১লা জানুয়ারি ফরিদপুর সদর উপজেলার তাম্বুলখানা গ্রামে জন্মগ্রহন করেন। মোহাম্মদ জসীম উদ্দীন মোল্লা তার সম্পুর্ন নাম তবে তিনি জসীম উদ্দীন নামে পরিচিত কবির মায়ের নাম ছিলো আমিনা, এবং তার পিতার নাম আনসার উদ্দিন মোল্লা, তার পিতার নামানুসারে একটি বিদ্যালয়ও রয়েছে।
কলেজ জীবনে থাকা কালীন অবস্থায় তিনি কবর কবিতা রচনা করেছেন আমাদের পল্লী কবি তার কবিতার মাধ্যমে আবহমান গ্রাম বাংলার দৃশ্যপট তুলে ধরেছেন তার কবিতায় সম্প্রীতির বন্ধন লক্ষনীয় তিনি তার কবিতায় লোকজ সংস্কৃতিকে তুলে ধরেছেন। তিনি কবিতার পাশাপাশি গানও রচনা করে গেছেন ।
কবর,আসমানী,নকশীকাঁথার মাঠ,সোজন বাদিয়ার ঘাট, এক পয়সার বাঁশী অন্যতম কাব্যগ্রন্থ ,এছাড়াও তিনি অসংখ্য কাব্যগ্রন্থ রচনা করেছেন যা আমাদের বাংলা সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করেছে।
তার লেখা কাব্যগ্রন্থ বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদিত হয়েছিলো তিনি ১৯৭৬ সালে একুশে পদক , এবং ১৯৭৮ সালে স্বাধীনতা পুরস্কার (মরণোত্তর ) অর্জন করেছেন।
তার লেখা গানগুলো আজও সমান জনপ্রিয় কলো কলো ছলো ছলো নদী করে টলো মলো , আমায় এতো রাতে কেনে ডাক দিলি প্রান ককিলারে , মাঝিদের কন্ঠে এসকল গান ভেসে বেরায় আজও
Recent Comments