চলে গেলেন ফরিদপুরের বাতিঘর, তারাপদ স্যার
করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন ফরিদপুরের প্রবীণ সাংবাদিক,শিক্ষাবিদ, জ্ঞানের বাতিঘর শ্রী জদীশ চন্দ্র ঘোষ (তারাপদ স্যার)
ফরিদপুরের বাতিঘর সর্বজন শ্রদ্ধেয় প্রবীন সাংবাদিক ও শিক্ষাবিদ শ্রী জগদীশ চন্দ্র ঘোষ (তারাপদ ঘোষ) এর প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক জনাব অতুল সরকার। গতকাল ২রা এপ্রিল রাত ৮টা ৪৫ মিনিটে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন ৯৫ বছর বয়সী এই গুণি ব্যাক্তি। আজ শনিবার সর্বজন শ্রদ্ধেয় প্রবীন সাংবাদিক ও শিক্ষাবিদ শ্রী জগদীশ চন্দ্র ঘোষ এর প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক জনাব অতুল সরকার।
জানা গেছে তিনি ফরিদুরের বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুদিন যাবৎ আইসিউতে চিকিৎসাধীণ ছিলেন। তার মৃত্যুতে তার পরিবারের প্রতি ফরিদপুর জেলা প্রশাসক জনাব অতুল সরকার সমবেদনা জ্ঞাপণ করেছেন,সেই সাথে ফরিদপুরের সর্বস্তরের মানুষের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে । বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন,পেশাজীবী,রাজনৈতিক,প্রশাসনিক সর্ব স্তরের জনগণ তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন।
১৯২৯ সালের ৬ আগস্ট মানিকগঞ্জের কাঞ্চনপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পরবর্তীতে পরিবারের সাথে ফরিদপুর সদরের ঈশান গোপালপুর এলাকায় বসবাস করতে শুরু করেন। ২০১৯ সালে তিনি আইপিডিসি প্রথম আলো প্রিয় শিক্ষক সম্মাননা পেয়েছিলেন তারাপদ স্যার। ৪০ বছর তিনি দ্যা বাংলাদেশ অবজারভার এর জেলা প্রতিনিধি হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় ফরিদপুর সদর উপজেলার ঈশান গোপালপুর জমিদার বাড়িতে গণহত্যায় নিহত ২৮ জনের মধ্যে তাঁর বাবা যোগেশ চন্দ্র ঘোষ, ভাই গৌর গোপাল ঘোষও ছিলেন।
তারাপদ স্যারের মৃত্যুতে সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের ইংরেজী বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জনাব রেজভী জামান তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন শ্রদ্ধেয় জগদীশ স্যারের সাথে স্মৃতি একটি নয়; হাজারটি। ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য নিয়ে তাঁর অদম্য কৌতূহল ছিল, এত rational মানুষ জীবনে খুব কম দেখেছি। কিছুদিন আগেও ফোন করে কুশলাদি জিজ্ঞেস করেছেন ,স্যার চলে গেলেন তার স্মৃতিগুলি অম্লান হয়ে থাকবে,তাঁর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি।
Recent Comments