সালথা উপজেলা রণক্ষেত্র অগ্নি সংযোগ, গুলি বিনিময়
সালথা উপজেলার সহকারী কমিশনার মারুফা সুলতানা খান হীরামনি (ভূমির) নেতৃত্বে চলমান লকডাউন বাস্তবায়ন এর লক্ষে একটি টিম সালথার সোনাপুর ইউনিয়নের ফুকরা বাজার ফুকরা বাজারে কিছু চায়ের দোকান মুদি দোকান খোলা দেখতে পায়। প্রশাসন ব্যাবসায়ীদেরকে দোকান বন্ধ করতে বলা হলে তারা বন্ধ করতে চায়নি একসময় বাকবিতন্ডার সৃষ্টি হয় ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ওই সময় আনসার সদস্য ও পিএকে নিয়ে এসিল্যান্ড মারুফা সুলতানা ফুকরা বাজারে যান। এসময় বাজারে লোক সমাগম ও দোকানপাট খোলা দেখতে পেয়ে এসিল্যান্ডের সহকারী একজনকে লাঠিপেঠা করে।জাকির হোসেন নামের এক ব্যাক্তি অভিযোগ করেন, তিনি বলেন এসিল্যান্ডের গাড়ি থেকে নেমে এক ব্যক্তি তার কোমরে সজোরে লাঠি দিয়ে বাড়ি দেন যার ফলে তার কোমর ভেঙে যায়। এদিকে, জাকির হোসেন আহত হওয়ার খবরে সেখানে থাকা উপস্থিত জনতা উত্তেজিত হয়ে ওঠে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেখানে সালথা থানার এস আই মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ পৌঁছালে উত্তেজিত জনতা পুলিশের ওপরে হামলা করে। এতে এস আই মিজানুর রহমানের মাথা ফেটে যায়। ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠে এলাকাবাসী, তাদের প্রতিরোধের মুখে এসিল্যান্ড তার টিম নিয়ে ফিরে যান। পরবর্তীতে এলাকাবাসী ও ব্যবসায়ীরা সংঘবদ্ধ হয়ে উপজেলা পরিষদ ,থানা ঘিরে রাখে এবং পুলিশ বেশ কিছু টিয়ারশ্যাল ও ফাকা গুলি নিক্ষেপ করে। পরবর্তীতে এলাকাবাসী উপজেলা পরিষদ এর প্রধান ফটক গ্যারেজ ও গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। উত্তপ্ত পরিবেশ নিয়ন্ত্রনে আনতে ফরিদপুর ও অন্যান্য উপজেলা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা চলছে।
Recent Comments