পুরাতন কোর্ট জামে মসজিদ ফরিদপুর
01/04/2022
পুরাতন কোর্ট জামে মসজিদ
, ব্রিটিশ আমলে নির্মিত এই মসজিদে জাপানি টাইলস দিয়ে কারুকার্য করা হয়েছিলো। কারিগড় আনা হয়েছিলো দিল্লি থেকে । ফরিদপুর সদর উপজেলায় অবস্থিত দৃষ্টিনন্দন তিন গম্বুজ বিশিষ্ট এই মসজিদটি সম্পর্কে আরও অজানা তথ্য জানতে প্রতিবেদনটি শেষ পর্যন্ত দেখুন
ফরিদপুরের দৃষ্টিনন্দন ও ঐতিহাসিক মসজিদ নিয়ে নির্মিত তথ্য চিত্রে আজ আমরা দেখবো ফরিদপুরের পুরাতন কোর্ট জামে মসজিদ। মসজিদটি ১৯৩৮ সালে নির্মান কাজ শুরু হয় এবং শেষ হয় ১৯৪০ সালে,। দৃষ্টিনন্দন এই মসজিদের নির্মান কাজ করেছিলো দিল্লির কারিগড়।
(প্রতিষ্ঠাতা)
পুরাতন কোর্ট মসজিদটি প্রতিষ্ঠায় যার অবদান না বললেই না তিনি হলেন বর্তমান রাজবাড়ী জেলা ততকালীন ফরিদপুর জেলায় জন্ম নেয়া জনাব মৌলভি তমিজউদ্দিন খান, তিনি পেশায় আইনজিবী ছিলেন ফরিদপুর জজ কোর্টে, সেই সাথে রাজনীতিবিদও, পরবর্তীতে তিনি অবিভক্ত বাংলায় মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বপালন করেন।
(১ম ইমাম)
এই মসজিদের ১ম ইমাম ছিলেন জনাব আফতাব উদ্দিন যিনি মাসে ২৫ টাকা বেতন পেতেন।
(অবস্থান)
মসজিদটি ফরিদপুর সদর উপজেলায় অবস্থিত শেখ জামাল স্টেডিয়াম সংলগ্ন জোনাল সেটেলমেন্ট ভবনের পাশেই। সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ ও স্টেডিয়াম মধ্যবর্তী সড়কের পাশে অবস্থিত দৃষ্টিনন্দন মসজিদটি যে কারও নজর কারবে।
(মসজিদের বর্ননা)
তিন গম্বুজ বিশিষ্ট এই মসজিদটির মাঝের গম্বুজটি আকারে বড়, অন্য দুটি গম্বুজ কিছুটা ছোট, মসজিদের সামনে দুটি ছোট মিনার রয়েছে এবং মাঝে দুটি বড় মিনার রয়েছে, এছাড়াও ছোট ছোট আরও বেশকিছু মিনার দেখতে পাওয়া যায় । বড় মিনার দুটি সিরামিক কারুকার্য সমৃদ্ধ, মসজিদের গম্বুজেও রয়েছে সিরামিক বাসনের কারুকার্য এছাড়া মসজিদের ভেতরে রয়েছে জাপানি টাইলস এর নান্দনিক কারুকার্য যা মসজিদের সৌন্দর্যকে বৃদ্ধি করেছে কয়েকগুন। মসজিদের মেহরাবটিকে বিশেষভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে, মসজিদের মূল কক্ষে রয়েছে দুটি পিলার এবং বারান্দায় রয়েছে ৫টি, পিলারগুলোও বিভিন্ন নকশায় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে । মসজিদ নির্মান কাজ চলাকালীন সময়ে অর্থ সংকট থাকায় তৎকালিন সময়ে শুধুমাত্র বারান্দায় মোজাইক করা হয়েছিলো, কিন্তু ভেতরে মোজাইক করা হয়নি। পরবর্তীতে ১৯৭৭ সালে তৎকালিন জেলা প্রশাসক জনাব আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী মসজদটিকে বর্ধিত করার জন্য ৮লাখ টাকা অর্থ সহায়তা প্রদান করেন।
মসজিদটি শুরুতে ২৩ শতাংশ জমির উপরে নির্মিত হয় এই মসজিদটি। পরবর্তীতে মসজিদের জন্য জনাব আব্দুল আজিজ এর অনুরোধে জেলা প্রশাসক জনাব আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী আরও ৭ শতাংশ জমি মসজিদের নামে জমি বরাদ্দ করেন। বৃটিশ আমলে নির্মিত এই মসজিদটিতে এক সাথে প্রায় ৫শতাধিক মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারেন। মসজিদের ভেতরেই রয়েছে অযুখানা এবং পাশেই অবস্থিত ছাত্রাবাস।
মসজিদের সামনে বেশ কিছুদিন অন্য স্থাপনা থাকায় মসজিদটি আড়ালেই ছিলো বর্তমানে মসজিদটিকে রাস্তা থেকেই দেখা যায় । সংস্কার কাজ এবং রং এর কাজ করার পরে মসজিদটিকে আরও সুন্দর লাগছে।
১৯৫৮ সাল থেকে ৪০ বছর এই মসজিদে কর্মরত ছিলেন জনাব আব্দুল আজিজ তার কাছ থেকে জানুন আরও কিছু অজানা তথ্য।
আপনাদের কাছে তুলে ধরা হলো।
Recent Comments