রক্তাক্ত ফাগুন একটি বসন্তের কবিতা
“রক্তাক্ত ফাগুন”
মোঃ উজ্জল হোসেন
জলচৌকিতে বসে পুব উঠানে,
শীতের রাত্রি গুণছি আপন মনে,
ভোরের আলো যখন ফুটে উঠে,
অন্ধকারের নীরবতা শিশিরঘাসে লুটে,
দেখতে দেখতে শীত গিয়েছে চলে,
ফাগুন বুঝি আসছে শিমুল ডালে,
আমের বোলে ছেয়ে গেছে বাড়ি,
কঁচিপাতায় ঘন সবুজ শাড়ী,
নরম রৌদ্রে শালিক ডাকে বাঁশে,
বুনোঘাসের গন্ধ নাকে ভাসে,
ফাগুন হাওয়া লাগলো যখন গায়,
অমনে কি আর বসে থাকা যায় ?
ফাগুন আমার রক্তগোলাপ মাস,
অগ্নিঝরা মুক্তমনে নীরব দীর্ঘশ্বাস,
বুকের ভিতর ঢুকে ঢুকে উঠে,
স্মৃতির পাতায় রক্তজবা ফোটে,
এ যে আমার সুদূর অতীত আপন,
হৃতপিণ্ডের রক্তশিরার কাঁপন,
বুকের মাঝে শহীদ মিনার গেঁথে,
বাংলা ভাষায় সবাই উঠছি মেতে৷
মাঝে মাঝে কলম কেঁপে উঠে,
বিদ্রোহেতে আঙ্গুল দিয়ে স্ফুর্লিঙ্গ ছুটে,
বখতিয়ারের ঘোড়ার উপর বসে,
শুকুনিদের চাবুক মারি বেদম কষে কষে,
দিবাস্বপ্নে ঝিমনি আসে চোখে,
ফাগুন হাওয়ায় ধূলোবালি নাকে মুখে ঢোকে৷
আমি না হয় অলস কবি হয়ে,
চার দেয়ালে আটকে আছি রয়ে,
রফিক,শফিক, বরকতের ওই বুকে,
ফুলের তোড়া পৌছে দিছি ঝুকে,
আজও আমায় শিশুর মত টানে
একুশের ওই মধুর সুরের গানে,
তোমরা যাঁরা আছো প্রবাস জনে,
আমার মত পাঠিয়ে দিও মনে৷
Recent Comments