ফরিদপুরে শকুন উদ্ধার
আজ সকাল ১১টার দিকে ফরিদপুর সদর উপজেলার ১নয় ওয়ার্ডের দক্ষিণ শোভারামপুর রেল লাইনের পাশে অসুস্থ অবস্থায় একটি শকুনের দেখা পান স্থানীয় যুবক পারভেজ আহমেদ,সোহেল আহমেদ, নাফিজ মাহমুদ,সজিবুল ইসলাম, ও রিফাত হাসান পরবর্তীতে তারা বিষয়টি স্থানীয় যুবক ফরিদপুর সাইক্লিস্ট কমিউনিটির এডমিন বায়েজিদ হোসাইনকে অবহিত করেন বায়েজিদ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফরিদপুর লাইভ গ্রুপে লাইভের মাধ্যমে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিতে আনতে প্রচেষ্টা চালায়।
নিজেরা স্থানীয় পশু চিকিৎসকের সাহায্য নিতে ফোন করেন তারা পশু হাসপাতালে নিয়ে আসার পরামর্শ দেয়। এদিকে ফরিদপুর সিটি পেজের পক্ষ থেকে বায়েজিদের সাথে যোগাযোগ করা হয় । ফরিদপুর সিটি পেজের পক্ষ থেকে একজন প্রতিনিধি স্থানটিতে যান এবং শকুনটিকে একটি খাচার মধ্যে দেখতে পান। জানা যায় পারভেজ,সোহেল সকলে মিলে শকুনটিকে উদ্ধার করে খাচায় রেখে দেয় যেনো তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা যায়। পরবর্তীতে ফরিদপুর সাইকেলিস্ট কমিউনিটির এডমিন বায়েজিদ হোসেইন এবং পারভেজ,নাফিস,সোহেল এর সহযোগীতায় ফরিদপুর সিটি পেজের প্রতিনিধি শকুনটিকে একটি অটোতে করে খাচাসহ টেপাখোলায় অবস্থিত পশু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক প্রদান করেন এবং ফরিদপুর সিটি পেজ এর পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ঔষধ কিনে দেয়া হয় শকুনটির চিকিৎসার জন্য। কর্তব্যরত চিকিৎসক ঔষধ সেবন করান শকুনটিকে এবং আঘাত প্রাপ্ত স্থানেও প্রয়োজনীয় ঔষধ প্রয়োগ করেন।
পরবর্তীতে তাদের পরামর্শ অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় বন কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের কাছে শকুনটিকে রেখে আসতে চাইলে তাদের কাছে রাখার খাচা না থাকায় তারা তাদের আরেকটি কার্যালয়ে স্থানান্তর করে দেয়। তবে অবাক লাগার বিষয় হচ্ছে তাদের কাছ থেকে যেমন সহযোগীতা কামনা করেছিলাম তেমন পাইনি। পরবর্তীতে তারা তাদের একজন কর্মকর্তাকে শকুনটিকে তাদের গঙ্গাবর্দীতে অবস্থিত কার্যালয়ে স্থানান্তর করেন আমরা শকুনটিকে ইজিবাইকে খাচাসহ নিয়ে যাই । সেখানে পাখিটিকে একটি কক্ষে কাচা থেকে রেখে নামিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়। শকুনটি খুবই দুর্বল তার সু চিকিৎসার জন্য নিয়মিত ঔষধগুলো খাওয়ানো প্রয়োজন আমরা তাদের কাছে ঔষধ এবং ব্যবস্থাপত্র দিয়ে এসেছি। ঔষধের পাশাপাশি খাবারের প্রয়োজন শকুনটি অভুক্ত একারনে বেশি দুর্বল।
মনে করা হচ্ছে অনেক দুর থেকে পাখিটি বাংলাদেশে এসেছে অনেক পথ পাড়ি দিয়ে আসার কারনে দুর্বল হয়ে গেছে সেই সাথে ক্ষুধার্ত জানা গেছে এমন শকুন সদরপুরেও দেখা গিয়েছে এবং উদ্ধার করা হয়েছে। ফরিদপুর বনবিভাগের কার্যালয় থেকে খুলনায় অবস্থিত বিভাগীয় বন বিভাগে যোগাযোগ করা হয়েছে রবিবার খুলনা থেকে এসে শকুনটিকে নিয়ে যাবে বলে জানা গেছে। রবিবার পর্যন্ত শকুনটি সুস্থ থাকলে হয়তো পরবর্তীতে আরও ভালো ব্যবস্থা হবে শকুনটির জন্য। সুস্থ হলে পাখিটি আবারও আকাশে উড়ে বেড়াবে।
Recent Comments