ফরিদপুরের মেসে থাকা ছাত্র ছাত্রীদের আর্তনাদ কে শুনবে?
সমগ্র বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও করোনা ভাইরাস মহামারিতে রুপ নিয়েছে সমগ্র দেশ আজ লকডাউনে চলে গেছে। কর্মহীন হয়ে পরেছে শ্রমজীবীরা, ব্যবসায়ীরাও লোকসানে আছে সমগ্র অর্থনীতি আজ থমকে গিয়েছে শিক্ষা কার্য্যক্রমও ব্যাহত হচ্ছে। যেসকল ছাত্রর ছাত্রীরা পড়া লেখার উদ্দেশ্যে শহরে এসেছিলো যারা পড়া লেখার পাশাপাশি কেউ টিউশনিও করতো, কেউ কেউ পার্ট টাইম জব করতো তাদেরও ইনকাম বন্ধ হয়ে আছে আজ। তারা ফিরে গিয়েছে নিজ নিজ বাড়িতে মেসে থেকে যারা পড়াশোনা করতো তারা অধিকাংশই দ্ররীদ্র পরিবার এর সন্তান। তাদের পরিবারেরও হয়তো ইনকাম থেমে আছে আজ কার কাছে মেসের ভাড়ার টাকা চাইবে। হয়তো কেউ টিউশনি বা পার্ট টাইম জব করে কোনও মতে পড়ালেখার খরচ চালাতো পাশাপাশি বাসায়ও কিছু সাহায্য করতো আজ সেসকল ছাত্র বা ছাত্রীদের পথ বন্ধ হয়ে আছে। তারা অসহায় হয়ে আছে মেস ভাড়া নিয়ে আমাদের কাছে অনেকেই খোলা চিঠি পাঠাচ্ছেন অনেকে অভিযোগ করেছেন তাদেরকে মেস মালিক চাপ দিচ্ছেন ভাড়া দিতে । মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে করোনা পরিস্থিতি যদি স্বাভাবিক না হয় তাহলে সেপ্টেম্বর পর্য্যন্ত সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকতে পারে এমত অবস্থায় সকল ছাত্র ছাত্রীরা মেস ভাড়া নিয়ে বিপাকে পরেছেন। বিগত ২০ মার্চ থেকে সকল ছাত্র ছাত্রীরা নিজ নিজ বাড়িতে অবস্থান করছেন এবং হয়তো পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে আরও ৫মাস এভাবে থাকতে হতে পারে । কিন্তু মেস মালিকগন ছাত্র ছাত্রীদের মেসের ভাড়া দিতে চাপ দিচ্ছেন এমতবস্থায় সকল ছাত্র ছাত্রীরা অসহায় এবং দিশেহারা হয়ে পরেছেন । অনেক ছাত্র ছাত্রীরা দিশেহারা হয়ে জেলা প্রশাসক বরারবর খোলা চিঠিও দিচ্ছেন । সকল ছাত্র ছাত্রীরা প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষন করছেন যেনো সমগ্র দেশের মেস মালিকগন মানবিক দৃষ্টি থেকে মেস ভাড়া মওকুফ করেন । ছাত্র ছাত্রীদের অনেক পরিবার আছে যারা এখন কোনও রকম জীবন যাপন করছেন। তারা মেস মালিকদের নিকট আবেদন করছেন মেস মালিকগন যেনো একটা মানবিক সিদ্ধান গ্রহন করেন। হয়তো অনেক মেস মালিক আছেন যারা এই মেস ভাড়া দিয়ে তাদের পরিবার চালাতো তারাও হয়তো বিপাকে আছেন তাই সবার দিক বিবেচনা করে সুন্দর একটা সমাধান চান ফরিদপুরের মেসে থাকা ছাত্র ছাত্রীরা। উল্লেখ্য ফরিদপুর সদর উপজেলায় অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকায় এশহরে গড়ে উঠে সহস্রাধিক ছাত্রাবাস ছাত্রী নিবাস হাজার হাজার শিক্ষার্থীরা এসব মেসে থেকে লেখাপড়া করে । তাই মেস মালিকরা সবদিক বিবেচনা করে মানবিক স্বার্থে এগিয়ে আসবেন এটাই প্রত্যাশা শিক্ষার্থীদের ।
Thanks for your news