আজ ঐতিহাসিক করিমপুর যুদ্ধ দিবস

Page Visited: 341
98 Views

আজ ফরিদপুরের ইতিহাসে একটি ঐতিহাসি ঘটনা ঘটেছিলো ১৯৭১ সালে, যা করিমপুর যুদ্ধ দিবস নামে পরিচিত।

৯ ডিসেম্বর তখন যশোরে স্বাধীন বাংলার পতাকা উড়ছিলো, যৌথ বাহিনীর ধাওয়া খেয়ে পাকবাহিনী পিছু হটে ঢাকা ফিরছিলো খবর তখন ফরিদপুরের মাঝকান্দি ও আশেপাশের মুক্তিযোদ্ধারা সক্রিয় হয়ে ওঠে।

সেদিন পাকিস্তানী বাহিনীর সাথে সম্মুখ যুদ্ধ সংঘটিত হয় ফরিদপুর সদর উপজেলার কানাইপুর ইউনিয়নের এই করিমপুর এলাকায়  কাজী সালাউদ্দিন এর নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। তারা পাকবাহিনীর একটি গাড়ি গ্রেনেড দিয়ে উড়ি দেয় তবে পেছনে আসা বড় গাড়ির বহর থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের দিকে হামলা শুরু করে । শুরু হয় তুমুল যুদ্ধ গুলিব্ধি হয় কাজী সালাউদ্দিন দেখা দেয় অস্ত্র স্বল্পতা মুক্তিযোদ্ধারা তখনপিছু হটতে বাধ্য হয়ে পাশের গ্রামে আশ্রয় নেয়। বোয়ালমারীর নতুবদিয়া ক্যাম্প থেকে হেমায়েত, গৌড়দিয়া ক্যাম্প থেকে ইলিয়াসের নেতৃত্বে আরো একটি দল যুদ্ধে অংশ নেয়। তবে পাকবাহিনীর বিশাল বাহিনীর কাছে মুক্তিযোদ্ধারা খুব একটা প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে না, যুদ্ধের একপর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা হেমায়েত গুলিবিদ্ধ হওয়ায় শেষ চেষ্টা ব্যার্থ হয়ে মুক্তিযোদ্ধারা পাশের গ্রামে আশ্রয় নেয়। পাকবাহিনীরা স্থানীয় রাজাকারের সাহায্য নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের খুজে বের করে নির্মমভাবে হত্যা করে বাড়ি ঘরে আগুন লাগিয়ে দেয়।

শহীদ হন মুক্তিযোদ্ধা কাজী সালাউদ্দিন, মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ নৌফেল, আব্দুল হামিদ,সোহরাব হোসেন, আব্দুল আওয়াল,আব্দুল ওয়াহাব, ও মজিবুর রহমানসহ মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তাকারী আরও চার গ্রামবাসী।

১৭ ডিসেম্বর সকালে শহীদ হওয়া মুক্তিযোদ্ধাদের দেহাবশেষ ফরিদপুর সদর উপজেলার আলিপুর কবরস্থানে দাফন করা হয়।

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *