ফরিদপুরে ডাহুক শিকারী এবং হত্যাকারীর বিরুদ্ধে স্বপ্রণোদিত মামলা দায়ের
10/06/2020
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি পোস্ট এর মাধ্যমে বিলুপ্ত প্রজাতির পাখি ডাহুক শিকারী এবং হত্যাকারীর বিরুদ্ধে মামলা ।
ফরিদপুর জেলার সদরপুর উপজেলার কৃষ্ণপুর এলাকার শৌলডুবী গ্রামের বাসিন্দা শওকত ফকির নামের এক ব্যাক্তি ৫০টি ডাহুক পাখি হত্যা এবং বিক্রী করেছে এমন একটি পোস্ট ৯জুন ২০২০ তারিখে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফরিদপুর ভিত্তিক গ্রুপ ফরিদপুর লাইভ গ্রুপে একে আলামিন খান নামের এক ব্যাক্তি পোস্টটি করেন পোস্টটি দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায় পোস্টটি সকলের নজরে আসে এবং সচেতন সমাজ এমন ঘটনার জন্য তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে এবং দ্রুত শাস্তির দাবি জানান। ঘটনাটি তাৎক্ষনিক বিজ্ঞ সিনিয়র সহকারী জজ এস,এম, শরিয়ত উল্লাহ্ এর নজরে আসে এবং তিনি ঘটনাটি সংশ্লিষ্ট আদালতের নজরে আনেন পরবর্তীতে বিজ্ঞ আদালত ব্যাবস্থা গ্রহন করেন। এছাড়াও যানা যায় ভাইরাল হওয়া পোস্টটি সর্ব প্রথম যিনি করেন তিনি হচ্ছেন হাসান আলি নামের স্থানীয় এক ব্যাক্তি তার পোস্টটি পরবর্তীতে বিভিন্ন পাখি প্রেমী বন্ধুরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন।ফরিদপুর লাইভ গ্রুপের সদস্য ও তরুছায়া সংগঠনের সভাপতি খালিদ মাহমুদ সজীব তিনিও সদরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবহিত করেন এছাড়াও রয়েছে এইচ এম শামীম তিনি একজন এনিমেল লাভার যদিও তার বাড়ি পটুয়াখালিতে তবুও তিনিও তার অবস্থান থেকে একজন সচেতন প্রকৃতি প্রেমীর যায়গা থেকে বিষয়টি ফরিদপুরের প্রশাসনের দৃষ্টিতে আনার ব্যাপারেও সহযোগীতা করেছেন তিনিও ফরিদপুর লাইভ গ্রুপে পোস্ট করেন এবং অন্যান্য সকল পাখি প্রেমীদেরকে বিষয়টি অবহিত করেন,এছাড়াও রয়েছেন জাহিদ জিহান তিনিও একজন এনিমেল লাভার তিনিও এই অপকর্মের সাথে জড়িত ব্যাক্তির দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবি করেন। সর্বপরি বিলুপ্ত প্রজাতীর পাখি ডাহুক হত্যা এবং শিকারের সাথে জড়িত ব্যাক্তিকে দ্রুত আইনের আওতায় আনার ব্যাপারে যখন সকলে আওয়াজ তুলতে শুরু করে তখন আজ বুধবার সকালে ফরিদপুরের আমলি আদালতে ম্যাজিস্ট্রেট অরুপ কুমার স্বপ্রণোদিত হয়ে একটি মামলা করেছেন বলে জানা যায়। এবং মামলার প্রতিবেদনটি দ্রুত সময়ের মধ্যে দাখিল করার জন্য বিজ্ঞ আদালত বিভাগীয় বন কর্মকর্তাকে নির্দেশ প্রদান করেছেন। “বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২” এর ৩৮ ধারা অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। আজ সকালে সদরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পূরবী গোলদার এর নির্দেশনায় স্থানীয় বন কর্মকর্তা জনাব সালাউদ্দিন অভিযুক্ত শওকত ফকিরের বাড়িতে যান তিনি ,শওকতের বাবা ওসমান ফকির এর সাথে কথা বলে তিনি নিশ্চিত হতে পারেন যে শওকত পাখি হত্যা করেছে এবং বন কর্মকর্তা বাড়ি থেকে জীবিত ডাহুক পাখিও উদ্ধার করেছেন। এসময় অভিযুক্ত ডাহুক হত্যার সাথে জড়িত শওকত ফকির বাড়িতে ছিলেন না বলে জানা যায়। তবে ঘটনাটি তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় হবে বলে জানা যায়।
Recent Comments