ফরিদপুরে কিশোরের গোল্ড ফিস এর সফলতার গল্প

Page Visited: 128
132 Views

নাম মোঃ সাহাদুজ্জামান খালিদ ঠিকানাঃ দক্ষিণ টেপাখোলা, লালের মোড়। বর্তমানে ন্যাশনাল পলিটেকনিক ফরিদপুর এ ৪র্থ পর্বে, সিভিল ডিপার্টমেন্ট এ পড়া লেখা করছে। এর পাশাপাশি তার একটি ছোট রঙিন মাছের খামার আছে। যেই খামার টা আরো কয়েক বছর আগে শখের বসে তিনি শুরু করেছিলো। রঙিন মাছের উপর তার নেশা অনেক ছোট বেলা থেকে। তখম দেখতো মানুষ এর ঘরে একুরিয়াম তখন খুব আনন্দ লাগতো তার। তখন হঠাৎ কি মনে করে একদিন ফরিদপুর জেল খানার পাশে একটা মাছের দোকান ছিলো সেখান থেকে ২ টা মাছ কিনেন তিনি। তখন তিনি ক্লাস ফোর এ পড়ে। কিছু না বুঝেই মাছ ২ টা কিনে ছিলো তারপর মাছ ২ টা মারা যায় সেদিন রাতেই, তিনি আবার পরের দিন সকালেই আবার মাছ কিনে আনে এভাবে তার অনেক মাছ মারা গেছে হঠাৎ এটা তার আব্বু লক্ষ করে পরে সে তাকে একটা একুরিয়াম কিনার জন্য টাকা দেয়। একটা কথা বলে রাখা ভালো তার এসবের জন্য তার আব্বু আম্মু তার পাশে সব সময় ছিলো বন্ধুর মতো। একুরিয়ামটা যখন কিনি তখন মাছ ও কিনে কিন্তু কয়েক মাস পর তার মাছ পালার শখ চলে যায়। কারণ সে তখন cycle stunt শুরু করে।ফরিদপুর এর একটা Group আছে RsRz,নামে সেখানে stunt করতো তখন আর মাছে সময়,দিতে পারতো না, ক্লাস সিক্স এ যখন উঠে আবারো মাছের পোকা তার মাথায় আসে এবার তার দুলাভাই তাকে একটা একুরিয়াম বানিয়ে দেয় অনেক বড়,সেটা এখনো তার খামারে রাখা,তারপর তিনি কিছু মাছ কিনি ( গাপ্পি, মলি) যেগুলা বাচ্চা দেয় আর সেখান থেকেই শুরু তার খামারে সপ্ন, ১ম বারেই বাচ্চা গুলা বড় হয়,কিন্তু সেল করে না, পরে তিনি আরো মাছ কিনে, এভাবে অনেক দিন একুরিয়াম এর ভিতর মাছ নিয়ে কাজ করে।

তখনো ফরিদপুর এ এমন খামার নেই ২/১ জন থাকতে পারে কিন্তু পরিচয় ছিলো না, সে তখন অনলাইন থেকে কিছু ভিডিও দেখে বাসায় গোল চার এর সেট আপ  করে আর সেখান থেকে আজ এই পর্যন্ত আসার গল্পে অনেক রকম ঘটনার সম্মুখীন হতে হয়েছে তাকে। বিশেষ করে যখন মাছ বিক্রি শুরু করি তারপর থেকে মানুষ এর বদনাম, আশেপাশে মানুষ অনেক রকম কথা বলতো ইত্যাদি, সেদিকে নজর দেয় না সে ফলে  আজ এতোদুর  আসতে পেরেছে। তার সপ্নের একটা নাম Faridpur gold fish zone. এই নামটি আজ অনেক মানুষ চিনে আর জানে এটা তার জীবনে অনেক বড় পাওয়া। এখন মাছের পাশাপাশি গাছ নিয়েও কাজ শুরু করেছে তিনি। যেটা  শুরু করছে সকলের দোয়াতে সেটাতেই ভালো সাড়া পাচ্ছে। cycle stunt ছেড়ে দিয়েছে অনেক দিন আগে সময়ের অভাবে তাই এই স্বপ্নটা বাদ। তবে ভবিষ্যতে রঙিন মাছ, গাছ এসবের পাশাপাশি জীবন্ত অন্যান জিনিস নিয়ে কাজ করার অনেক ইচ্ছে তার।কারণ অন্য দের মতো বাইক ইত্যাদি তার দূর্বলতা না। তার এই মাছ, গাছ ইত্যাদি এসবে অনেক শখ। শখ থেকে যদি ভালো কিছু হয় ক্ষতি কি। তিনি চানা তাকে মানুষ না চিনলেও মানুষ Faridpur gold fish zone কে চিনুক জানুক। বিভিন্ন রকম রঙিন মাছ এখন তার খামারে আছে, বেশির ভাগ সময়ে থাকে কমেট, অরেন্ডা গোল্ড ফিস, মলি,প্লাটি,হাফ ব্লাক গাপ্পি, ফাইটার, চিকলেট,গোড়ামি,ইত্যাদি। । তার একটা ফেসবুক পেইজ ও আছে যেটির নাম খালিদের শখের খামার। তিনি এত দূর আসতে পেরিছে তার পরিবার এর জন্য। যারা কখনো তাকে এসবে বাধা দেয় নাই। তার মা তার থেকে ভালোবাসে তার মাছ গুলো, গাছ গুলাকে। তার বাবা তার পুরা খামারটা নিজের হাতে সাজিয়ে দিয়েছে। প্রতিদিন সকালে তার আগে সে খামার টা ঘুরে দেখে। হ্যা হতে পারে অনেক ছোট খামার তার,কিন্তু অনেক বড় স্বপ্ন এখানে তার, সবাই দোয়া করলে অনেক দূর নিয়ে যেতে পারবে Faridpur gold fish zone কে সাথে পড়ালেখা টাও।

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *