এ্যাডভোকেট শামসুদ্দিন মোল্লা
25/04/2022
শামসুদ্দিন মোল্লার জন্ম ১৯২১ সালে জেলার ভাঙ্গা ধারপূর্ব সদরদী গ্রামে। ১৯৪১ সালে ভাঙ্গা হাইস্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাশ করেন। স্কুলে পড়ার সময়েই বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
১৯৪৪ সালে কোলকাতা সুরেন্দ্রমোহন কলেজ থেকে আই.এ. ১৯৪৬ কোলকাতা ইসলামিয়া কলেজ থেকে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে বি.এ পাশ করেন। তিনি কায়দে আযম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ, এ.কে.ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, আতাউর রহমান, তমিজউদ্দিন খান প্রমুখ জাতীয় নেতাদের সান্নিধ্যে আসেন। বঙ্গবন্ধুর সাথে পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আন্দোলন, ১৯৫২ সালে আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এল.এল.বি পাশ করে ফরিদপুর বারে আইন পেশায় যোগদান করেন। ১৯৬০-৬৮ সাল ফরিদপুরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ৬৮-৬৯ সালে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। ১৯৬৬ সালে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য নির্বাচিত হন, ফা আন্দোলনের অন্যতম নেতা ছিলেন। ১৯৬৯ সালে গণ অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেন। ১৯৭০ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৬৫ দৈনিক ইত্তেফাকের ফরিদপুরত্ব নিজস্ব সংবাদদাতা মনোনীত হন ১৯৬৬ থেকে ৬৯ সাল পর্যন্ত ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ছিলেন। ১৯৬৬-৬৮ পূর্ব পাকিস্তান সাংবাদিক সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৭২-৭৫ সাল পর্যন্ত ফরিদপুর বারে সভাপতি ছিলেন। ১৯৭২ সালে সংবিধান রচিয়তার অন্যতম সদস্য ছিলেন। ১৯৭৩-৭৪ সালে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন। ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচিত হন। ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ রেডক্রস ফরিদপুর জেলা শাখার সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৭৪ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নে শান্তি সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন।তিনি ফরিদপুর ল-কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও শেরেবাংলা পাবলিক লাইব্রেরীর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু পরিবর্তিত বাকশালের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও বৃহত্তর ফরিদপুরের গভর্ণর মনোনীত হন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার খবর শুনে তিনি ইসমত কাদির গামা ও কয়েকজন সঙ্গীকে নিয়ে ঢাকার কলাবাগানের রাস্তায় প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। তাঁর জ্যৈষ্ঠপুত্র এম,এম শাহারিয়ার রুমি কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের অন্যতম সদস্য। ১৯৯১ সালের ১০ জুলাই মৃত্যুবরণ করেন।
তথ্যসূত্র: ঐতিহ্যে লালিত ফরিদপুর গ্রন্থ
Recent Comments