অসুস্থ শিক্ষককে অর্থ সহায়তা প্রদান টিম ফরিদপুর সিটির

Page Visited: 1191
128 Views
জন্ম রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলায়।খুব ছোটবেলায় বাবা মারা যাওয়ায় ঠাই হয় মুসলিম মিশন এতিমখানায়। সেখান থেকেই পড়ালেখা করে দাখিল পাশ করে ভর্তি হন মুসলিম মিশন কলেজে।

ইন্টারমিডিয়েট পাশ করে রাজেন্দ্র কলেজ থেকে ইংরেজীতে অনার্স এবং মাস্টার্স পাশ করেন। পড়ালেখা শেষ করে মুসলিম মিশন দাখিল মাদ্রাসায় খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে বেশ কয়েকবছর শিক্ষকতা করেন।
এরপর একমাত্র মায়ের সাথে গ্রামের বাড়িতে বসবাস শুরু করেন এবং টিউশনির মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করেন, একপর্যায়ে বিয়ে করেন। এখন মা, স্ত্রী ও তিন শিশুকন্যা সহ ৬ সদস্যদের পরিবার।
অনেক ছোট বয়স থেকেই ডায়াবেটিস থাকায় রেগুলার ট্রিটমেন্ট করেছেন, সুস্থ্যও থেকেছেন।
কিন্তু এবছরের প্রথমদিকে হঠাৎ অবস্থার অবনতি ঘটে। নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকায়, সেখানে ডাক্তাররা নানা পরীক্ষা-নিরিক্ষা করে জানান তার দুটো কিডনিই নষ্ট হয়ে গেছে।
এদিকে ট্রিটমেন্ট চলমান আছে, মাঝে তো এমন পরিস্থিতি হয়েছিল অনেকেই আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন যে হয়তো আর বাঁচবে না।
আল্লাহর রহমতে সেখানের ডাক্তাররা সর্বোচ্চ চিকিৎসা দিয়ে রিলিজ করে দেন। কিন্তু শর্ত দেন, বেচে থাকতে হলে সপ্তাহে দু’বার ডায়ালাইসিস করাতে হবে।
জীবনের শুরুটা হয়েছিল যেখানে এখন জীবনের শেষ পর্যায়ে আবার সেখানে ঠাই হলো।
প্রতি সপ্তাহে ডায়াবেটিস হাসপাতাল থেকে দু’বার কিডনি ডায়ালাইসিস করাতে হচ্ছে। এর ব্যাত্যয় হলে, শরীর ফুলে যায়, চোখে দেখেন না, কাউকে চিনতে পারেন না। এই ডায়ালাইসিস অনেকটাই ব্যায়বহুল, যারা করেছেন তারা জানেন, প্রত্যেক ডায়ালাইসিস করানোর জন্য ৩-৫ হাজার টাকার মত প্রয়োজন হয়।
কিন্তু তার পক্ষে আর চালানো সম্ভব হচ্ছেনা। তার ছাত্র ও বড়/ছোট ভাই যে যার যার স্থান থেকে যতটুকু সম্ভব সাহায্য করেছে সর্বশেষ আজ আমাদের আমাদের মডারেটর রোকন উদ্দিন আজ  ৫০০০ টাকা স্যারের হাতে তুলে দিয়েছে।

আপনারা যদি যার যার স্থান থেকে এগিয়ে আসেন তাহলে স্যার হয়তো আরো কিছুদিন বেঁচে থাকতে পারবেন। 01883477581 স্যারের বিকাশ (পার্সোনাল) নাম্বার। অথবা এখন তিনি মুসলিম মিশনের অভ্যন্তরীণ হাসপাতালে অবস্থান করছে, চাইলে সরাসরিও সাহায্য করতে পারেন।

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *